Monday, July 14, 2025

স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে সর্বস্ব হারালেন গৃহবধূ

আরও পড়ুন

রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুজন আদালতে ১৬৪

ধারায় গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সোহেল।

বিজ্ঞাপন

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের উদনারায়ণ মাছহাড়ি এলাকার এজাহারুল ইসলামের ছেলে আজম আলী (১৯), সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়ার মৃত মাহফুজুর রহমানের ছেলে

সিয়াব বাবু ওরফে বানিয়া বাবু (২৬) ও এজাহারুল ইসলামের জামাই কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারিঝাড় হারেটকুঠি এলাকায় আব্দুল মজিদের ছেলে শামীম হোসেন (২৩) ।

আরও পড়ুনঃ  ভারতীয় গণমাধ্যমেও বিরোধী সুর, তবে কি হাসিনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো ভারত?

ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, ভুক্তভোগী নারী দিনাজপুরের বাসিন্দা। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল। ঘটনার চার দিন আগে ওই নারীর সঙ্গে ফেসবুকে

শামীম হোসেনের পরিচয় হয়। পরে মোবাইল নম্বর দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ইমুতে কথাবার্তা হয়। শামীম সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন শামীম।

বিজ্ঞাপন

গত ৫ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে ওই নারী তার ১৫ মাসের ছেলে সন্তানসহ স্বামীর গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা নিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় উদ্দেশ্যে বের হন। পথে শামীম মোবাইলে ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে সারাই

আরও পড়ুনঃ  দাবি আদায়ে খামারবাড়ির গেট বন্ধ করে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ইউনিয়নের ধুমেরকুঠি এলাকায় আসতে বলেন। ওই নারী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক যুবক তাকে ধুমেরকঠি এলাকায় একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান তারা।

ওই নারীর স্বামী মুঠোফোনে জানান, ৬ মার্চ সকালে স্ত্রী তাকে অজ্ঞাত মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়টি জানায়। তিনি ঘটনাস্থলে এসে স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করলে হুমকিতে পড়তে পারে বৃহত্তর ভারতের অস্তিত্ব,বলছেন বিশ্লেষকরা

বিজ্ঞাপন

হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাতে ওই নারী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হারাগাছ থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির

সহযোগিতায় অভিযুক্ত তিনজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সদর এলাকা থেকে শামীম ও আজম আলীকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ১৯ এপ্রিল ভোরে ধুমেরকুঠি এলাকা থেকে সিয়াম বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ