Friday, July 11, 2025

ভারতের যুদ্ধবিমান ঠেকাতে’ পাকিস্তানকে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিলো চীন!

আরও পড়ুন

পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলার জেরে উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে। এই পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক

ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। পাকিস্তানের হাতে এসেছে চীনের তৈরি পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, যা মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার

রাফাল যুদ্ধবিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যেই ব্যবহার হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানকে এই মিসাইল সরবরাহ করে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দিচ্ছে বেইজিং। সম্প্রতি তিনটি জেএফ-১৭

যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী, যেখানে প্রতিটি জেটই সজ্জিত ছিল পিএল-১৫ মিসাইলে। এই মিসাইল দৃষ্টিসীমার বাইরে (Beyond Visual

আরও পড়ুনঃ  ৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত সংসদ ভবনে ছিলেন শিরীন শারমিনসহ ১২ জন

Range) হামলা চালাতে সক্ষম, যার পাল্লা ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার এবং গতি শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি।

চীনের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র যদিও গতির দিক দিয়ে এগিয়ে, তবে ভারতীয় রাফাল জেটের সঙ্গে থাকা ইউরোপীয় ‘মিটিওর’ ক্ষেপণাস্ত্রকে অনেকেই বেশি কার্যকর

বলে মনে করেন। র‌্যামজেট ইঞ্জিনচালিত মিটিওরের রয়েছে লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করে পুনরায় আঘাত হানার সক্ষমতা, যা পিএল-১৫ থেকে অনেকটাই উন্নত।

ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ হিসেবে শুধু মিটিওরের ওপর নির্ভর না করে রাশিয়ার তৈরি আর-৩৭এম ক্ষেপণাস্ত্র আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইউক্রেন

আরও পড়ুনঃ  সাভারে প্রেমিককে ৯ খণ্ড করে হত্যা, প্রেমিকাসহ গ্রেপ্তার ২

যুদ্ধেও সফলভাবে ব্যবহৃত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এবং শক্তি পাকিস্তানের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে ভারতের বিমানবাহিনীতে রয়েছে ২৬০টির বেশি রুশ নির্মিত এসইউ-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান, যেগুলি

আর-৭৭ এবং ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। এছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা যুদ্ধবিমান ‘তেজস’-এ ডিআরডিওর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ভারতীয় বায়ুসেনা নিজের অবস্থান আরও মজবুত করছে।

সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘অপারেশন আক্রমণ’ নামে মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ফ্রান্সের সঙ্গে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৩ হাজার কোটি রুপির চুক্তিও করেছে নয়াদিল্লি।

আরও পড়ুনঃ  কাশ্মীরকে ‘আরেক গাজায়’ পরিণত করতে ভারতকে ইন্ধন দিচ্ছে ইসরাইল?

অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার পহেলগাঁও হামলার জন্য ভারতীয় অভিযোগ খারিজ করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছে। ইসলামাবাদের এ দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। এমনকি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় একাধিক দেশ ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রস্তুতি কি সরাসরি সংঘর্ষে গড়াবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক কৌশল ও কূটনৈতিক চাপের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এখন এক নতুন পরীক্ষার মুখে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ