Sunday, July 13, 2025

স্যোশাল মিডিয়ায় সফল দম্পতি না দেখাতে মুশতাক-তিশাকে আদালতের নির্দেশ

আরও পড়ুন

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং সিনথিয়া ইসলাম তিশা দম্পতিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে সফল কাপল হিসেবে না দেখানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন ধর্ষণ মামলা থেকে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিলো।

আরও পড়ুনঃ  কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রচন্ড বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা নিহত

এদিন শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। কাপল হিসেবে তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছে। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল। যা সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছেন। সমাজে যাতে এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরও পড়ুনঃ  কাশ্মীরের ঘটনায় মোদীই দায়ী, ভারতজুড়ে বাজছে বিজেপির পতনের ঘন্টা?

আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার এর বিরোধিতা করে বলেন, বাদীকে হুমকি দেয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে, এরপর যদি বাদীকে কোনো হুমকি দেয়া হয়, আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন দেখানো না হয় আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূস অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেননি, আমাদের হাতে বিপ্লবের দলিল নেই: ফরহাদ মজহার

তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, স্যার আপনার নির্দেশ অনুযায়ী কোনো প্রকার ভিডিও-বার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা। তখন বিচারক বলেন, টিকটক করলে সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ ইফেক্ট পড়ে এমন ভিডিও না করলে হবে।

বিচারক আসামিদের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। সেই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ