Sunday, July 13, 2025

আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এসে লাশ নিয়ে যান

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
শ্বশুরকে ফোন করে বললো স্বামী
আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এসে লাশ নিয়ে যান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৭:৩৭, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

FacebookTwitterEmailWhatsAppLinkedInMessengerShare
আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এসে লাশ নিয়ে যান
নাদিরার বাবার আহাজারি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এই

ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী নিজেই ফোন করে শ্বশুরকে জানান, তিনি তার মেয়েকে হত্যা করেছেন। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং পাশ থেকে রক্তমাখা দা জব্দ করে।

আরও পড়ুনঃ  পদ্মা নদীর পানি আকাশের দিকে উঠে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

নিহত নারীর নাম নাদিরা আক্তার (২৬)। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝিকাতলা মাইজহাটি

গ্রামের বাসিন্দা এবং অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। তারা শ্রীপুরে একটি ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

নাদিরার বাবা নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জামাতা আমিনুল তাকে ফোন করে

বলেন, “আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এসে লাশ নিয়ে যান।” এরপরই কলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  আল জাজিরাকে বললেন প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানান মোদি

নাদিরার ভাই রাজিব মিয়া, যিনি একই ভবনের দোতলায় থাকতেন, জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৭টায় কাজে বের হওয়ার সময় বোনের ঘরের দরজায় তালা দেখতে পান

এবং ভাবেন বোন হয়তো আগেই কাজে গেছেন। কিন্তু বাবার ফোন পেয়ে দ্রুত ফিরে এসে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।

রাজিব অভিযোগ করে বলেন, “আমার দুলাভাই আগেও এক স্ত্রীকে হত্যা করে কারাভোগ করেছে, যা আমরা পরে জেনেছি। আপাকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করত। আজ সে নির্মমভাবে খুন করল আমার বোনকে।”

আরও পড়ুনঃ  ‘সেনাবাহিনী আমাকে এটাই শিখিয়েছে’

বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান জানান, আমিনুল ও নাদিরা ছয় বছর ধরে তার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। ঘটনা জানার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করেন।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসমতউল্লাহ জানান, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার

করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশ থেকে রক্তমাখা দা জব্দ করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ