একাত্তর
বিশ্বযোগ
পহেলগামে কেন সেনা ছিলো না, রাহুলের প্রশ্নে যা জানালো ভারত সরকার
একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪১ পিএমআপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
পহেলগামে কেন সেনা ছিলো না, রাহুলের প্রশ্নে যা জানালো ভারত সরকার
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দুদিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিলো ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
বৈঠকে ‘যে কোনো পদক্ষেপের জন্য’ মোদী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে দেশটির বিরোধীদল। তবে একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের মূল প্রশ্ন ছিলো— পহেলগামে হামলার সময় কেন কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিলো না?
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এমন তুললে, রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংসহ আরও অনেকে তা সমর্থন করেন। খবর এনডিটিভির।
rahuul
জবাবে বিজেপি সরকার জানায়, বৈসারন এলাকা সাধারণত জুন মাসে শুরু হওয়া বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার আগে থেকেই নিরাপত্তার আওতায় আসে। তখন ওই পথ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয় এবং তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়।
লস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহতলস্করের শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত
কিন্তু এ বছর স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলো ২০ এপ্রিল থেকেই সেখানে পর্যটক নিয়ে যাওয়া শুরু করে দেয়
জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আগাম কোনো তথ্য ছিলো না। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই পর্যটন শুরু হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি।
বিরোধীদের আরেকটি প্রশ্ন ছিলো- ভারতের যদি পানি সংরক্ষণ ক্ষমতা না থাকে, তাহলে সরকার কেন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করলো?
জবাবে সরকারের প্রতিনিধিরা জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবিক লাভের জন্য নয়, বরং প্রতীকী ও কৌশলগত বার্তা দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে। ভারত সরকার কঠোর
পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, সেটাই এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার কোন পথে এগোবে, তার ইঙ্গিতও এতে রয়েছে।
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলিকাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
পেহেলগামকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ চাইলো পাকিস্তানপেহেলগামকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান
এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বৈঠকের সূচনা করেন।
অন্যদিকে হামলার ক্রম, গোয়েন্দা তথ্য এবং ঘটনার পর থেকে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা বৈঠকে তুলে ধরেন গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক তপন ডেকা।
বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি-এসপি, শিব সেনা, আরজেডি, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জেপি নাড্ডা, সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল প্যাটেল, সসমিত পাত্র, শ্রীকান্ত শিন্ডে, প্রেমচাঁদ গুপ্ত, তিরুচি শিবা ও রাম গোপাল যাদব।