Monday, July 14, 2025

আণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত

আরও পড়ুন

SAMAKAL | GET THE LATEST ONLINE BANGLA NEWS
বিশ্ব
আণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার সূচক ২০২৫
আণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত
আণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত
অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ২১:০৩

FacebookXWhatsAppLinkedInTelegramMessengerEmailShare


+
জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে গত মঙ্গলবার বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার বিষয়টি

বিশ্বব্যাপী এখন আলোচনায়। মালয়েশিয়াভিত্তিক ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া’ শুক্রবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার সূচক

(জিএফপি) ২০২৫’ অনুসারে করা ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। তবে সার্বিক সক্ষমতায় ভারত বেশি শক্তিশালী।

কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানের মদদ থাকার অভিযোগ তুলে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। দেশটির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানও। এমন প্রেক্ষাপটে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধার উপক্রম হয়েছে।

জিএফপি সূচকে জনশক্তি, সামরিক সরঞ্জাম, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক অবস্থাসহ ৬০টির বেশি বিষয়ের ভিত্তিতে ১৪৫টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সামগ্রিক

আরও পড়ুনঃ  বজ্রপাতে একদিনে ১৫ জনের মৃত্যু

র্যািঙ্কিংয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ ও সক্ষমতা সূচকে স্কোর ০ দশমিক ১১৮৪ (কম স্কোর মানে বেশি শক্তিশালী সেনাবাহিনী)। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিশ্বে ১২তম ও স্কোর ০ দশমিক ২৫১৩।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের এ অবস্থান দেশটির বড় জনসংখ্যা, বৃহত্তর প্রতিরক্ষা বাজেট ও বিস্তৃত পরিসরের সামরিক সম্পদের প্রতিফলন। অন্যদিকে, পাকিস্তান ছোট অর্থনীতির কারণে নানা সীমাবদ্ধতা ও বৈদেশিক সরবরাহকারী,

বিশেষ করে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা সত্ত্বেও ভারতকে মোকাবিলায় কৌশলগত বিষয়গুলোয় মনোযোগী। ফলে নির্দিষ্ট খাতগুলোয় প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

সামরিক-বেসামরিক জনশক্তির দিক দিয়েও ভারত এগিয়ে রয়েছে। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। সক্রিয় জনশক্তি ৬৬ কোটি ২০ লাখ ও সক্রিয় সেনা ১৪ লাখ ৬০ হাজার, যা বিশ্বে দ্বিতীয়।

এ ছাড়া রিজার্ভ সেনা রয়েছে ১১ লাখ ৬০ হাজার (বিশ্বে সপ্তম)। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ২৫ লাখ ৩০ হাজার (বিশ্বে দ্বিতীয়)। মোট সামরিক (সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী) জনবল ৫১ লাখ।

আরও পড়ুনঃ  সোনালি দিনের স্বপ্ন দেখানো ট্রাম্পের জনসমর্থনে ভাটা তিন মাসেই

অন্যদিকে, পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৫ কোটি ২০ লাখ (বিশ্বে পঞ্চম)। সক্রিয় জনবল ১০ কোটি ৮০ লাখ। সক্রিয় সেনা ৬ লাখ ৫৪ হাজার (বিশ্বে সপ্তম)। রিজার্ভ সেনা ৬ লাখ ৫০ হাজার। রেঞ্জার্স, ফ্রন্টিয়ার কোরসহ মোট সামরিক শক্তি ১৭ লাখ (সক্রিয়, রিজার্ভ ও আধা সামরিক বাহিনী)।

ভারতের জনবল পাকিস্তানের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি এবং রিজার্ভ ও আধা সামরিক বাহিনীও বড়। পাকিস্তান যদিও কম জনবল নিয়ে কাজ করে, তবে তাদের মধ্যে অনিয়মিত বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে।

প্রতিরক্ষা বাজেটেও এগিয়ে আছে ভারত। দেশটির বাজেট (২০২৫-২৬) ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার (যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর তৃতীয়)। এটি জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ। এ ব্যয় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

পাকিস্তানের বাজেট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার (অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শীর্ষ দেশের তালিকায় নেই)। এ ব্যয় জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বৈদেশিক সামরিক সহায়তা ১০ কোটি ডলার (মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে)।

আরও পড়ুনঃ  দুই বছরের সাজা এড়াতে ১০ বছর ধরে পলাতক, অবশেষে গ্রেপ্তার

ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট পাকিস্তানের ছয় থেকে আট গুণ। দেশ দুটির সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে স্থলবাহিনী। দেশ দুটির রয়েছে ৩ হাজার ৩২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। দু’দেশের মধ্যে ১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালে প্রচলিত ঘরানার যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। ভারতের ট্যাঙ্ক ৪ হাজার ৬১৪টি। সাঁজোয়া যান ১ লাখ ৫১ হাজার ২৪৮টি। কামান ৯ হাজার ৭১৯টি। বিশেষ বাহিনীর মধ্যে আছে প্যারা এসএফ, ঘাতক ফোর্স, এমএআরসিওএস।

পাকিস্তানের ট্যাঙ্ক ৩ হাজার ৭৪২টি। সাঁজোয়া যান ৫০ হাজার (আনুমানিক)। কামান ৪ হাজার ৪৭২টি (৩৭৫ স্বয়ংক্রিয় হাউইটজারসহ)। ট্যাঙ্ক, সশস্ত্র যান ও কামানে সংখ্যাগত দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত। পাকিস্তানেরও ট্যাঙ্কবহর প্রতিযোগিতামূলক।

ভারতের মোট বিমান ২ হাজার ২২৯টি। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৫১৩ থেকে ৬০৬টি। পাকিস্তানের মোট বিমান ১ হাজার ৩৯৯ থেকে ১ হাজার ৪৩৪টি। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৩২৮ থেকে ৩৮৭টি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ