Live
Channel 24
সারাদেশ
A-AA+
জেলা পুলিশের সুধী সভার প্রথম সারিতে কৃষক লীগ নেতা
আনোয়ার হোসেন, স্টাফ করসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জআনোয়ার হোসেন, স্টাফ করসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত : ১৪:৩৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
জেলা পুলিশের সুধী সভার প্রথম সারিতে কৃষক লীগ নেতাX
জেলা পুলিশের সুধী সভার প্রথম সারিতে কৃষক লীগ নেতা। ছবি: চ্যানেল 24
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পুলিশের সুধী সভার প্রথম সারিতে জেলা কৃষক লীগ সভাপতির বসা নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহিদ সাটু হলে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজনে করে জেলা পুলিশ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহীর অতিরিক্ত মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় মঞ্চের সামনের সারিতে বসা ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোত্তাসিন বিশ্বাস বলেন, ‘একজন ব্যক্তি দাওয়াত ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রবেশের সুযোগ নেই। কেউ না কেউ
দাওয়াত দিয়ে জেলা কৃষক লীগের সভাপতিকে ডেকে এনেছেন। এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়- এখনও স্বৈরাচারের দোসর পুলিশের মধ্যে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে সুধী সমাবেশে উপস্থিত জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী দোসররা জেলায় ১৬টি বছর আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে রেখেছিল। মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। একজন ফ্যাসিবাদের পদধারী নেতা সামনের সারিতে বসা নিয়ে সবাই বিব্রত।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপি নেতা ওবায়েদ পাঠান বলেন, জেলা পুলিশ সুপার এখন পর্যন্ত কোনো আওয়ামী লীগসহ তার
অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেনি এবং সুধী সমাবেশে বিএনপির তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের দাওয়াত দেননি বরং আওয়ামী লীগের দোসরদের দাওয়াত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: রাজউক চেয়ারম্যান
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন,‘দাওয়াত ছাড়াই অনেকেই অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেউ ঢুকে থাকতে পারে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
Advertisement
এদিকে এ ঘটনার পর রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘সমাবেশস্থলে উপস্থিত সদস্যদের
মধ্যে কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য ও ফ্যাসিস্ট সংগঠনের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও কৃষকলীগ নেতা আব্দুস
সামাদ বকুলের উপস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকে পুলিশের জানা ছিল না। তার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন’।
এ বিষয়ে কথা বলতে কৃষক লীগ নেতা আব্দুস সামাদ বুকলের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়