Sunday, July 13, 2025

মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে, মৃ*ত্যুর আগে বাবা

আরও পড়ুন

এবার ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি গ্রামে এক ঠিকাদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) বিকেল ৫টার দিকে কৈজুরি গ্রামে নিজ বাসভবনের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই কক্ষ থেকে বুলবুলের মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া একাধিক চিরকুট উদ্ধার করা হয়। যার একটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নাম উঠে এসেছে।

ওই ঠিকাদারের নাম নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৭)। কৈজুরীর বাসিন্দা মরহুম মোজাফফর হোসেন রাঙা মিয়ার ছেলে তিনি। ধারণা করা হচ্ছে ব্যাবসায়িক বিরোধ ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে বুলবুল আত্মহত্যা করেছেন। জানা গেছে, নিহত নুরুজ্জামান বুলবুলের স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বুলবুলের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের ঝামেলা চলছিল। এর আগে তিনি ঝগড়া এড়াতে মেয়েদের নামে কিছু সম্পত্তি লিখে দেন।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতের লুটপাট! লুটের সম্পদ ফিরিয়ে দাও দিল্লি

পরিবার সূত্রে জানায়, নিহত নুরুজ্জামান বুলবুলের বাবা ফরিদপুরের মুন্সিবাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি চার বছর আগে মারা যান। এরপর গত বছর বুলবুলের মা’ও মারা যান। স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে তার। তাদের নিয়ে কৈজুরিতে পৈত্রিক বাসভবনে বসবাস করতেন।

স্থানীয়রা জানান, নুরুজ্জামান বুলবুল গত রোববার দুপুরের দিকে তাদের তিনতলা বাসভবনের দোতলার ওই কক্ষটিতে প্রবেশ করেন। এরপর আর তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

আরও পড়ুনঃ  আইএমএফের ঋণের কিস্তি না পেলে ক্ষতি হবে না

ওই ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আল্লাহ পাক যদি আমার মৃত্যু দেয় তাহলে আমার মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে। আর কবর যেন আমার মায়ের কবরের পাশে হয়, এ বাড়িতে নয়।’ অপর আরেক একটি চিরকুটে লেখা ছিল- ‘বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।’

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত নুরুজ্জামান বুলবুল বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঠিকাদারি করতেন। সর্বশেষ তিনি বাগেরহাটে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের বড় কাজ শেষ করেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের প্রথমদিকে পার্শ্ববর্তী হাড়কান্দি নিবাসী জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যোগ দেন। মুন্সিবাজার বাইপাস মোড়ের পাশে বুলবুল ও বিল্লালের যৌথ মালিকানায় কেনা জমির ওপর চারতলা একটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়। ব্যাবসায়িক লেনদেনের বাইরেও বিল্লালের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল।

আরও পড়ুনঃ  ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের নারী সহ ৪ সদস্য আটক

এদিকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে তার মৃত্যুর কারণ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ