বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মৃতপ্রায় বির্জা খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে নগর জামায়াত। সরকার ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) সহযোগিতার অংশ হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে খালটিতে খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। আনুমানিক ২০ দিনের এই প্রকল্পে কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচ হতে পারে বলে ধারণা করছেন দলটির নেতারা।
আগামী শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল নয়টায় প্রকল্পের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। গতকাল বুধবার নগর জামায়াতের দায়িত্বশীল ও টেকনিক্যাল টিমের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দেশে স্ত্রীর পরকীয়া, বিদেশে যে কাণ্ড স্বামীর
সভায় সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর দুঃখ বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে জামায়াতে ইসলামী নিজস্ব অর্থায়নে বর্তমান সরকারকে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেশের উন্নয়নের কাজে সহযোগিতার লক্ষে এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নগর জামায়াতের এই উদ্যোগ সফল করতে চসিক ও নগরবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, টেকনিক্যাল টিম দায়িত্বশীল ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ লোকমান, ইঞ্জিনিয়ার ফাহমি, ইঞ্জিনিয়ার টিপু ও ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, জামায়াত নেতা আবু বকর ছিদ্দিক, হামেদ হাসান ইলাহী, সুলতান আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার সরওয়ার আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ খাবারের বিনিময়ে গর্ভের সন্তানকে দত্তক দিতে চান মেম্বারের স্ত্রী!
এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল ও নগর জামায়াতের গঠিত টেকনিক্যাল টিম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বির্জা খালে খনন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন জানান, চসিকের সঙ্গে সমন্বয় করেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পে এক কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে। কাজ শেষ করতে আনুমানিক ২০ দিন সময় লাগতে পারে।