Sunday, July 13, 2025

আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে

আরও পড়ুন

বিশ্ব সংবাদ
আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে
ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭
আল-আকসায় ইহুদিদের প্রবেশ ‘নজিরবিহীনভাবে’ বাড়ছে
ইসরায়েল এক দিনে এক হাজারের বেশি ইহুদি পূণ্যার্থীকে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ ১৮০ জন করে ইহুদি প্রবেশ করেছেন। সংখ্যার দিক থেকে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রবেশের ঘটনা।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পাহারায় এ প্রবেশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ইহুদিদের কাছে এ স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল আল-আকসা এলাকা দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিকভাবে এটি এখনো দখলকৃত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত।

আরও পড়ুনঃ  আবুধাবিতে মন্দির খুলে দেয়ার পর দেখতে গেলেন ৬৫ হাজার মানুষ

ইসরায়েল এত দিন পর্যন্ত একসঙ্গে ৩০ জনের বেশি ইহুদি প্রবেশে অনুমতি দিত না। কিন্তু এবার সে নীতি থেকে সরে এসে একসঙ্গে বৃহৎ পরিসরে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে।

আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ জানায়, গত বুধবার এক দিনে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি ইহুদি মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। পাসওভারের ছুটি শুরুর পর এ সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে বলে দাবি তাদের।

ওয়াক্‌ফের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক আউনি বাজবাজ বলেন, ‘গত কয়েক দিনে যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন। এটি অত্যন্ত ভীতিকর পরিস্থিতি। ২০০৩ সালে যেখানে ২৫৮ জন প্রবেশ করেছিল, এখন তা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এমন চিত্র আগে দেখিনি।’

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলি বাধাকে চোখ রাঙিয়ে আল আকাসায় প্রথম তারাবি পড়লেন মুসল্লিরা

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদকে ভাগ করে ফেলার বিষয়টি ক্রমেই বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি অনেকটাই হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদের পুনরাবৃত্তি।’ তিনি যোগ করেন, ‘গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।’

স্থিতাবস্থার প্রশ্নে বিতর্ক

ঐতিহাসিকভাবে ১৭৫৭ সালের উসমানীয় ফরমান অনুযায়ী, অমুসলিমদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং ইহুদিদের শুধুমাত্র ওয়েস্টার্ন ওয়াল বা দেয়াল সংলগ্ন এলাকায় প্রার্থনার অনুমতি ছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বারবার বলেছেন, ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় থাকবে।

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের প্রবেশ ক্রমেই নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। অনেক রক্ষণশীল ইহুদি নেতা টেম্পল মাউন্টে উপাসনার দাবি জানিয়ে আসছেন, যদিও তাদের ধর্মীয় নেতারা ‘পবিত্রতা রক্ষা না হওয়া পর্যন্ত’ সেখানে প্রার্থনার অনুমতি দেননি।

আরও পড়ুনঃ  নুসরত বাদ, নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতার

সরকারের কট্টর ডানপন্থী সদস্য ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বারবার আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি তাকে বেশ কয়েকবার মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করতেও দেখা গেছে।

টেম্পল মাউন্ট কর্তৃপক্ষ নামক একটি উগ্র ডানপন্থী ইহুদি গোষ্ঠী জানায়, পাসওভারের প্রথম তিন দিনেই প্রায় তিন হাজার পুণ্যার্থী প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। গোষ্ঠীটি এ স্থানেই একটি নতুন মন্দির নির্মাণের পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

আউনি বাজবাজ বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা ধর্মীয় অভিব্যক্তির চেয়ে বেশি রাজনৈতিক উসকানি। এবং এ উসকানি সরকারের মদদেই হচ্ছে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ