ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
ইসরাইলি আর্মি রেডিওর সাংবাদিক ইয়ানির কোজিন বৃহস্পতিবার (৮ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন, নেতানিয়াহু তার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ফায়দা লুটছেন।
একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ইসরায়েলি মন্ত্রী ডারমারের আচার-ব্যবহার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসহযোগিতাপূর্ণ’ বলে মনে হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ট্রাম্পের আশেপাশের লোকজন তাকে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ব্যবহার করছেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ট্রাম্পকে একটা বিষয় সবচেয়ে বেশি ক্ষেপিয়ে তোলে, যখন কেউ তাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে বা চালবাজি করে। এ কারণেই তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।’
মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্কের অবনতির কারণ হিসেবে ইরান এবং ইয়েমেনের হুথিদের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সময়সীমা উপস্থাপনে ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন কোজিন। এছাড়া গাজার বিষয়ে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো স্পষ্ট প্রস্তাব দিতে না পারায় ট্রাম্প প্রশাসনের অসন্তোষ আরও বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন আর্মি রেডিওর ওই সাংবাদিক।
ইসরাইলের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলের ওপর চাপও প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজায় হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হোক।
ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ শুক্রবার (৯ মে) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী হামাসের সঙ্গে তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি না করে তাহলে তাদেরকে ‘একা ছেড়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র আর পাশে থাকবে না।